আকবর হোসেন :
২০০৪ সালের ২১আগষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী নিহত হন এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে।
যা ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য আরেকটি কালো দিন। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই দিবসটিতে গতকাল শনিবার সারাদেশের ন্যায় মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তারা বলেন ঐদিনের মূল পরিকল্পনায় ছিল খুনি জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। তারেক চেয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারলেই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু রাখে আল্লাহ, মারে কে?
বক্তারা বলেন জামাত-বিএনপির ঘটানো ঐদিনের নৃশংস এ ঘটনার প্রতিবাদ লাকসাম -মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হয়েছিল আামাদের প্রিয় নেতা এলজিআরডি মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে। যার বিনিময়ে আমাদের অনেক নেতা কর্মী হামলা মামলার শিকার হয়েছিল। ঐসময় লাকসাম – মনোহরগঞ্জ উপজেলার সকল নেতা কর্মীর সকল দায় দায়িত্ব নিয়ে পাশে ছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা মো. তাজুল ইসলাম। পরিশেষে বক্তারা বলেন ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনা কারী তারেক রহমানের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম, উপজেলা উন্নয়ন সম্বন্বয়ক ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মো: কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডার, আবুল বাশার মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল বাশার বাঙ্গালী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুর রহমান, মো. জিয়াউর রহমান শাহীন জিয়া, জানে আলম, আমির হোসেন, এমএইচ নোমান, মহি উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, রহুল আমিনসহ আরো অনেকে। এসময় উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।